লিট বাংলা ডট টেক, প্রযুক্তির হাতেখড়ি হোক বাংলাতেই।

হ্যাকিং / সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক বাংলা প্রযুক্তির ব্লগ

Showing posts with label ডার্ক ওয়েব. Show all posts
Showing posts with label ডার্ক ওয়েব. Show all posts
আপনিও হতে পারেন একজন দক্ষ হ্যাকার এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ!
আপনি নিশ্চিত ভাবেই জানেন যে, বর্তমান বিশ্বে সাইবার সিকিউরিটি সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, সরকারী বেসরকারী ভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়োগ চলছে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের। অনলাইন মার্কেট প্লেস কিংবা অনলাইন চাকুরি (Remote Job) এর ক্ষেত্রেও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। 
সাইবার নিরাপত্তার উপর ফ্রিল্যান্সিং করে হয়ে উঠছে স্বাবলম্বী। বর্তমান এই ডিজিটাল বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজনীয়তা ও অপরিহার্য।

ক্যারিয়ার:
✅ ইথিক্যাল হ্যাকার | ✅ সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট | ✅ আইটি ইঞ্জিনিয়ার
✅ ডিজিটাল ফরেনসিক এক্সপার্ট | ✅ SOC এক্সপার্ট | ✅ সাইবার থ্রেট হান্টার
✅ আন্তর্জাতিক মানের ফ্রিল্যান্সার

আর সেই প্রয়োজন থেকেই সাইবার সিকিউরিটি, ইথিক্যাল হ্যাকিং, লিনাক্স ও ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আগ্রহীদের জন্য বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান Arena Web Security দেশসেরা সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের তত্বাবধায়নে পরিচালনা করছে পূর্ণাঙ্গ প্রফেশনাল কোর্স।


🔰 তিন মাসের কোর্স + এক মাসের ইন্টার্নশিপ সুবিধাসহ
যেখানে রয়েছে:
✅ সাইবার সিকিউরিটি
✅ ইথিক্যাল হ্যাকিং
✅ লিনাক্স
✅ ফ্রিল্যান্সিং

📚 কোর্সটি সাজানো হয়েছে ৪টি বিভাগ এবং ১২১টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে,
যা আপনাকে তৈরি করবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এবং একজন দক্ষ সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করার জন্য।

🎓 সার্টিফিকেটঃ  কোর্স শেষে আপনি পাবেন Bangladesh Institute Of Cyber Security দ্বারা ভেরিফাইড আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট, যা বিশ্বব্যাপী আইটির যে কোন কাজেই ব্যবহার করতে পারবেন।

📥 ভর্তি প্রক্রিয়া (Step-by-Step):
1️⃣ প্রথমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করুন।
🔗 রেজিস্ট্রেশন লিংক: https://arenawebsecurity.net/admission-form
2️⃣ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার ইমেইলে একটি আইডি ও পাসওয়ার্ড পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
3️⃣ প্রাপ্ত আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করুন এবং পেমেন্ট অপশন চালু হলে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।
4️⃣ পেমেন্ট সম্পন্ন করার পর আমাদেরকে জানালে, আপনার ভর্তি নিশ্চিত করা হবে এবং আমরা বাকি সব প্রক্রিয়ায় সহায়তা করব।

📞 ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:
🏢 Arena Web Security অফিস:
বি/১, মেইন রোড, বনশ্রী, ঢাকা।
📱 ২৪ ঘণ্টার সাপোর্ট হটলাইন (শুধুমাত্র কোর্স সংক্রান্ত):
01310333444, 01885841489

🚀 সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান?
🔐 এডভান্স ওয়েব সিকিউরিটি নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও প্র্যাকটিক্যাল স্কিল অর্জন করতে?
তাহলে এই কোর্স হতে পারে আপনার জন্য সেরা শুরু!

🎯 কোর্সের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ

🔹 দেশসেরা সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ টিম দ্বারা প্রশিক্ষণ।
🔹 বাংলাদেশে একমাত্র কোর্স, যেখানে ৯০%–৯২% বিষয় হাতে-কলমে শেখানো হয়।
থিওরিটিক্যাল অংশ মাত্র ৮%–১০%, যা মূলত ভাইভা ও পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য রাখা হয়েছে।
🔹 যাদের প্রোগ্রামিং সম্পর্কে পূর্ব ধারণা নেই, তাদের জন্য রয়েছে ফ্রি বেসিক প্রোগ্রামিং ট্রেনিং।

📚 শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধাসমূহঃ

✅ কোর্স ফোরামে আজীবন এক্সেস
✅ প্রাইভেট টুলস ও ই-বুক
✅ ক্লাস সাপোর্ট ও ক্লাস রেকর্ডিং

🖥️ ক্লাস বৈশিষ্ট্যঃ

📌 কোর্স চলাকালে থাকবে দুইটি মিড-টার্ম পরীক্ষা, যাতে আপনি প্রস্তুতি নিতে পারেন ফাইনাল পরীক্ষার আগে।
📌 কোর্সের সাথেই থাকবে সাইবার সিকিউরিটির উপর প্রজেক্ট থিসিস করার সুযোগ

📝 পরীক্ষা সম্পর্কিত তথ্যঃ

💻 কোর্সটি সম্পূর্ণ অনলাইনে পরিচালিত হলেও,
ফাইনাল পরীক্ষা সরাসরি একাডেমিতে এসে দিতে হবে।
🌍 শুধুমাত্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য রয়েছে অনলাইনে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ। তবে সেক্ষেত্রে সার্টিফিকেট তার মনোনীত কেউ একাডেমি থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে।

🧑‍💻 কোর্স শেষে ইন্টার্নশিপ সুবিধাঃ

🚀 কোর্স শেষে থাকবে এক মাসের ইন্টার্নি প্রজেক্ট,
যেখানে আপনি আমাদের টিমের সঙ্গে কাজ করে শিখবেন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসভিত্তিক প্রজেক্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা। যার ফলে ইন্টার্ন চলাকালীন সময়েই আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন।

শর্তাবলী

🔸 প্রতিটি ক্লাস রেকর্ড করা হয়। অনুপস্থিত থাকলে ক্লাসের রেকর্ড ও অনুশীলন ক্লাসের মাধ্যমে পিছিয়ে পরা শিক্ষার্থীদের জন্য পুনরায় সুযোগ প্রদান।
🔸 তবে পূর্ব অনুমতি ছাড়া কেউ একটানা দুই সপ্তাহ ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে, তার স্টুডেন্টশিপ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হবে।
🔸 প্র্যাকটিস ও পরীক্ষায় উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।
জরুরী কারণবশত অনুপস্থিত থাকলে হলে অবশ্যই আগে থেকে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের জানাতে হবে।

🎓 কোর্স সময়কাল

🗓️ ৩ মাস লাইভ ক্লাস + ১ মাস ইন্টার্নশিপ
🌐 ইন্টার্নি করতে পারবেন আমাদের একাডেমিতে সরাসরি অথবা অনলাইনে প্রজেক্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে।

📌 ক্লাস দিন ও সময়:
বৃহস্পতিবার ও শনিবার, রাত ৯:৩০ – ১১:৩০ (বাংলাদেশ সময়)

📌 প্র্যাকটিস সেশন:
মঙ্গলবার, যে কোন ৩ ঘণ্টা আপনার সুবিধামতো আপনি নির্ধারণ করে প্র্যাকটিস করে নিতে পারবেন এবং আমাদের সাপোর্ট বিভাগ থেকে যে কোন সমস্যা সমাধান করে নিতে পারবেন।

🚀 ক্লাস শুরুঃ ২০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫

💳 কোর্স ফিঃ ১৪,০০০ টাকা
৩ মাসের কোর্স এবং এক মাসের ইন্টার্নি, কোর্স ফি, ১৪ হাজার টাকা। কোর্স ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে পাচ্ছেন Interest free double instalment সুবিধা।

🔹 ভর্তি নিশ্চিতে প্রথমে সর্বনিন্ম ৫০% মানে ৭০০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
🔹 বাকি ৭,০০০ টাকা ক্লাস শুরু হওয়ার ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে পরিশোধযোগ্য।

ট্রেইনার পরিচিতিঃ
Tanjim Al Fahimwww.facebook.com/TanjimOfficial ]
Chief Executive Officer of "Arena Web Security"  The Hacker's Arena
Founder of "Cyber 71" We hack to protect Bangladesh

Expertise: Ethical Hacking, Cyber Security, Cloud Security, OSINT, Digital Forensics

Cyber Security Instructor: Bangladesh University of Engineering and Technology (BUET), Ministry of ICT, Bangladesh Air Force & many more

Professional Background:
# Certified in Open Source Intelligence (C|OSINT) 
Bentley Training and Consultancy, United Kingdom
# Computer Hacking Forensics Investigator (CHFI) 
CertNexus,  United States of America (USA)
# CSA APAC Congress (Cloud Security) 
Cloud Security Alliance APAC, Malaysia

আমাদের প্রধান ট্রেইনার তানজিম আল ফাহিম স্যারের অধীনে ১৮ জনের একটি দেশসেরা সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ দল সাইবার সিকিউরিটি এবং ইথিক্যাল হ্যাকিং কোর্সের এই ব্যাচে দায়িত্ব পালন করবেন।

আগামী সপ্তাহে শুরু হওয়া এই ৪ মাসব্যাপী ইথিক্যাল হ্যাকিং কোর্সে থাকছে:

  • আমাদের কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপকে হ্যাকিং ল্যাব হিসেবে প্রস্তুত করবো।
  • পাসওয়ার্ড ক্র্যাকিং এর মাধ্যমে পাসওয়ার্ড হ্যাক করার কৌশল।
  • বিভিন্ন ওয়েবসাইটে হ্যাকাররা কিভাবে হ্যাক করে তা হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবো।
  • এন্ড্রোয়েড মোবাইল ব্যাবহারকারীর লোকেশন ট্র্যাক করার উপায় এবং প্রতিহত করার কৌশল।
  • ক্রিপ্টোগ্রাফির এবং এনক্রিপশনের মাধ্যমে তথ্য প্রকাশ না করে যোগাযোগ রক্ষা করবো।
  • মোবাইল কি লগারের মাধ্যমে হ্যাকার কারো মোবাইল হ্যাক করে কি কি করছে তার মনিটরিং করে থাকে, তা প্রশিক্ষণ নেওয়া। কিভাবে আমরা হ্যাকারের হাত থেকে মোবাইলকে সিকিউরড রাখবো তা নিশ্চিত করা।
  • অনলাইন থেকে কারো তথ্য যেভাবে খুঁজে বের করবো এবং অনলাইনে ট্র্যাকিং করবো।
  • জনপ্রিয় ওয়েব এটাকিং মেথডে একটা ওয়েবসাইটের ডাটাবেজ হ্যাক করে ওয়েব সিস্টেমে প্রবেশ করা।
  • একটা ওয়েবসাইট ডাউন করে দেওয়া, এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল।
  • কি লগারের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক এবং অপারেটিং সিস্টেমের তথ্য চুরি করা।
  • র‍্যাট কিংবা ব্যাকডোরের মাধ্যমে হ্যাকার যেভাবে একটি কম্পিউটারে প্রবেশ করে মনিটরিং করে থাকে তার হাতে কলমে প্রশিক্ষণ।
  • গুগল ডর্ক, আমাদের নিজস্ব টুলস ব্যাবহার করে ওয়েবসাইটের এডমিন প্যানেল বাইপাস বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা।
  • আপনার নিজের জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং সেটাকে সিকিউরিটি প্রদান করা।
  • ফেসবুক, জিমেইল সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের একাউন্ট যে পদ্ধতিতে হ্যাক হয় তা পর্যালোচনা করা, রিকভার করার কৌশল এবং সিকিউরিটি প্রদান বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা।
  • ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কিভাবে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করবো তার প্রশিক্ষণ।ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস (Fiverr/Upwork) ও বাগ বাউন্টি প্লাটফর্মে কাজের কৌশল
  • ২১ দিনের লাইভ ইন্টার্ন প্রোগ্রাম (Freelancing & Reporting)

সাইবার সিকিউরিটি, ইথিক্যাল হ্যাকিং, লিনাক্স এবং ফ্রিল্যান্সিং—এই কোর্সটির সম্পূর্ণ আপডেটেড মডিউল (v7) এখন দেখুন নিচের লিংকে:

🔗 Updated Module (v7):
👉 ক্লিক করে মডিউল দেখুন


ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয়তা ও নিয়মাবলী:

  • একটি ডেস্কটপ/ল্যাপটপ (Windows/Linux যেকোনো OS)
  • ইন্টারনেট কানেকশন
  • ইচ্ছাশক্তি ও আইটি / সাইবার সিকিউরিটিতে কাজ করার আগ্রহ
📥 ভর্তি প্রক্রিয়া (Step-by-Step):
1️⃣ প্রথমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করুন।
🔗 রেজিস্ট্রেশন লিংক: https://arenawebsecurity.net/admission
2️⃣ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার ইমেইলে একটি আইডি ও পাসওয়ার্ড পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
3️⃣ প্রাপ্ত আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করুন এবং পেমেন্ট অপশন চালু হলে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।
4️⃣ পেমেন্ট সম্পন্ন করার পর আমাদেরকে জানালে, আপনার ভর্তি নিশ্চিত করা হবে এবং আমরা বাকি সব প্রক্রিয়ায় সহায়তা করব।

🌟 কোর্সে অংশগ্রহণের বিশেষ সুবিধাসমূহঃ

🎯 আমাদের লক্ষ্য:
বাংলাদেশে সাইবার সিকিউরিটি মার্কেটের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার ও সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ তৈরি করা।
এই উদ্দেশ্যেই আমাদের কোর্স সাজানো হয়েছে একেবারে বেসিক থেকে,
যাতে যে কেউ ধাপে ধাপে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে, সময় ও প্র্যাকটিসের মাধ্যমে।

🧑‍🏫 ট্রেইনার সাপোর্ট: আমাদের ট্রেইনাররা প্রতিটি বিষয় সহজভাবে হাতে-কলমে শেখান,
যাতে পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াও শিক্ষার্থীরা দক্ষ হয়ে উঠতে পারে।

রেজিস্ট্রেশনে নিশ্চয়তা – রিফান্ড সুবিধা:
বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের রয়েছে "No Question Asked" রিফান্ড পলিসি।
যদি আপনি প্রথম ২টি ক্লাসে অংশ নেওয়ার পর মনে করেন যে, আপনার কাছে কঠিন মনে হচ্ছে কিংবা ভালো লাগছে না। আপনি রিফান্ড আবেদন করলে কোন প্রকার প্রশ্ন ছাড়াই আপনার ভর্তি বাতিল হয়ে রিফান্ড এপ্রোভ হয়ে যাবে।

📌 শর্ত: আপনাকে অবশ্যই প্রথম দুইটি ক্লাস যথাসময়ে এবং সম্পূর্ণ ক্লাসেই উপস্থিত থাকতে হবে।
আবেদনটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই করতে হবে।

🏆 আমাদের ১৩ বছরের সাফল্য গাঁথা: গত ১৩ বছরে এতো সফল শিক্ষার্থীর মাঝে একজন শিক্ষার্থীও রিফান্ডের আবেদন করেননি।
তবুও আমরা বিশ্বাস করি, রিফান্ডের নিশ্চয়তা পাওয়া আপনার অধিকার। আর তাই আমরা একমাত্র আইটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আপনাকে দিচ্ছি নিঃশর্ত ভর্তির নিশ্চয়তা।

Arena Web Security - সাইবার সিকিউরিটিতে সফলতার একমাত্র নির্ভরযোগ্য নাম।

🌐 সফলতা যেখান থেকে শুরু: বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র রেজিস্টার্ড সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান, ২০১২ সাল থেকে আমরা আস্থার সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। 
সাইবার সিকিউরিটির ওপর ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করা শতভাগ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আমাদের একাডেমির শিক্ষার্থী।

🌍 আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও মানদণ্ড: আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে শুরু করে চীনের হেনান পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি সহ বিশ্বের ৩৮টি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের কোর্সটিকে সাইবার সিকিউরিটির ইন্টার্নশিপ স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে নির্ধারণ করেছে।

🚀 বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের সফলতা: হাজারো শিক্ষার্থীর বিশ্বব্যাপী সাইবার সিকিউরিটিতে সফলতা এবং ৩ হাজার ৫ স্টার রিভিউ নিয়ে পরিচালনা করা একমাত্র কোর্স। 

👥 শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা জানুন: আমাদের Facebook পেজে সাবেক শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও রিভিউ দেখতে পারেন 
🔗 www.facebook.com/ArenaBangladesh

📞 ভর্তি সংক্রান্ত যোগাযোগ: যেকোনো প্রশ্ন বা তথ্য জানতে সরাসরি যোগাযোগ করুন আমাদের ২৪ ঘণ্টা হটলাইনে:
📱 01310333444,  01885841489 (শুধুমাত্র কোর্স সংক্রান্ত তথ্যের জন্য নির্ধারিত হটলাইন)

🏢 অফিস ঠিকানা:
B/1, Main Road, Banasree, Dhaka

🌐 অনলাইন প্ল্যাটফর্মসমূহ:

🔗 ওয়েবসাইট: www.arenawebsecurity.net
📘 Facebook Page: www.facebook.com/ArenaBangladesh
✉️ ইমেইল: info@arenawebsecurity.net

জানুন, যাচাই করুন, অভিজ্ঞদের মতামত নিন, সঠিক দিক নির্দেশনায় ক্যারিয়ার গড়ুন।
আমাদের বেসিক সাইবার সিকিউরিটি কোর্সটি করে নিন এই লিংক থেকে - ফ্রি ইথিক্যাল হ্যাকিং কোর্স

# হ্যাকার # ইথিক্যাল হ্যাক # এথিক্যাল হ্যাক # ফ্রিল্যান্সিং # সাইবার সিকিউরিটি  # সাইবার নিরাপত্তা  # সাইবার ৭১ # এরিনা ওয়েব সিকিউরিটি # বাংলাদেশ ইথিক্যাল হ্


ইন্টারনেট জগতের রহস্যময় জগতের নাম ডার্ক ওয়েব। এই রহস্যময় জগতের প্রধান পেমেন্ট সিস্টেম হচ্ছে বিটকয়েন। বিটকয়েন হল ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটকলের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া সাংকেতিক মুদ্রা। বিটকয়েন লেনদেনের জন্য কোন ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান বা নিকাশ ঘরের প্রয়োজন হয় না। ২০০৮ সালে সাতোশি নাকামোতো এই মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন করেন।

যেহেতু বিটকয়েনের লেনদেন সম্পন্ন করতে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পরে না এবং এর লেনদেনের গতিবিধি কোনভাবেই অনুসরণ করা যায় না। তাই বিশ্বের বিভিন্ন যায়গায় বিটকয়েন ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
দুর্নীতিবাজ ধনীরা যেমন কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধ টাকা জমা করার জন্য সুইস ব্যাংকে জমা করে থাকে তেমনি এই রহস্যময় জগতের সবাই নিজেদের গতিবিধি সবার নজরের উর্ধ্বে রাখার জন্য বিটকয়েন ব্যাবহার করে থাকে।


বিট কয়েন এর কার্য প্রণালীঃ বিটকয়েনের লেনদেন হয় পিয়ার টু পিয়ার বা গ্রাহক থেকে গ্রাহকের কম্পিউটারে। এটি কোন কেন্দ্রীয় নিকাশঘরের মধ্য দিয়ে যায় না কিংবা এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান নেই। বিটকয়েনের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় অনলাইনে একটি উন্মুক্ত সোর্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে। বিটকয়েন মাইনারের মাধ্যমে যেকেউ বিটকয়েন উৎপন্ন করতে পারে। বিটকয়েন উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াটা সবসময় অনুমানযোগ্য এবং সীমিত। বিটকয়েন উৎপন্ন হওয়ার সাথে সাথে এটি গ্রাহকের ডিজিটাল ওয়ালেটে সংরক্ষিত থাকে। এই সংরক্ষিত বিটকয়েন যদি গ্রাহক কর্তৃক অন্য কারও একাউন্টে পাঠানো হয় তাহলে এই লেনদেনের জন্য একটি স্বতন্ত্র ইলেক্ট্রনিক সিগনেচার তৈরী হয়ে যায় যা অন্যান্য মাইনার কর্তৃক নিরীক্ষিত হয় এবং নেটওয়ার্কের মধ্যে গোপন অথচ সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষিত হয়। একই সাথে গ্রাহকদের বর্তমান লেজার কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে হালনাগাদ হয়।
বিটকয়েন দিয়ে কোন পণ্য কেনা হলে তা বিক্রেতার একাউন্টে পাঠানো হয় এবং বিক্রেতা পরবর্তীতে সেই বিটকয়েন দিয়ে পুনরায় পণ্য কিনতে পারে, অপরদিকে সমান পরিমাণ বিটকয়েন ক্রেতার লেজার থেকে কমিয়ে দেওয়া হয়।

প্রচলিত মুদ্রা এবং বিটকয়েনের মধ্যে পার্থক্য:
পৃথিবীব্যাপী ব্যবহৃত প্রচলিত মুদ্রাগুলো মূলত কাগজের তৈরি। যেকোন প্রকারের সেবা আদান-প্রদানের হিসাব নিকাশের মূলে থাকে কাগজের তৈরি মুদ্রা। যে উপায়েই সেবা আদান-প্রদানের করা হোকনা কেন, মুখোমুখি সেবা দেওয়া-নেওয়া, অনলাইনে সেবা দেওয়া-নেওয়া, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেবা আদান-প্রদান ইত্যাদি।
ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে তৈরি করা বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি। প্রচলিত মুদ্রা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যকার প্রধান পার্থক্য হলো- ফিজিক্যাল অস্তিত্বের কারণে প্রচলিত মুদ্রা হাতে হাতে ব্যবহার করা যায়, হাতে নেওয়া যায়। অন্যদিকে ক্রিপ্টোকারেন্সি শুধু ব্যবহার করা যায়। ভার্চুয়াল অথবা ডিজিটাল হওয়ার কারণে এটি শুধু ব্যবহার করা যায়,কখনো হাতে নেওয়া সম্ভব নয়।

বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বী:
বর্তমানে ৪৫৪ রকমের ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশ্বব্যাপী কমবেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এর মধ্যে Litecoin এবং Ripple অন্যতম। অন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলো বিটকয়েনের মত এতটা ব্যবহৃত হয়না। আপাতদৃষ্টিতে Litecoin- কে বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হলেও, এটির সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ।

.


বিট কয়েন এর বর্তমান মূল্যঃ এক বিটকয়েনের বর্তমান মূল্য ২ লাখ ১১ হাজার টাকা প্রায় যা আমেরিকান ডলার হিসেবে ২৫৮০ ডলার। 
.
বিটকয়েন নিয়ে মজার কিছু কথাঃ শুরুর দিকে কেউ ভাবতে পারে নি বিটকয়েন এতোদুর এগিয়ে যাবে এবং শুরুর দিকে অনেক কম মূল্যের ছিলো।
আমেরিকান একজন যুবক বাজীতে হেরে বন্ধূকে পিজ্জা খাওয়ানোর বদলে তার একাউন্টে থাকা ১০ বিটকয়েন দিয়ে দিয়েছিলো। উল্লেখ্য, বিটকয়েন দিয়ে প্রথম পিজ্জা ই ক্রয় করা হয়েছিলো। ১২ বিটকয়েনের বিনিময়ে একটি পিজ্জা অর্ডার করা হয়েছিলো মাত্র। 
পরিশেষে কিছু কথাঃ আন্ডারগ্রাউন্ড টর নেটওয়ার্ক এবং বিটকয়েন মার্কেটপ্লেসটি উঠতি প্রযুক্তিগুলির মাত্র দুটি উদাহরণ। রহস্যময় এই জগতে লুকিয়ে আছে অনেক কিছু যা আমাদের অজানা। যার কার্যক্রম আমাদের চোখের সামনেই হচ্ছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

এবার আমরা আলোচনা করবো ক্রিপ্টোকারেন্সী সম্পর্কে। আমরা ক্রিপ্টোকারেন্সী জগতের প্রধান মুদ্রা বিটকয়েন নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। ক্রিপ্টো কারেন্সি এটি একটি ইলেকট্রনিক মাধ্যম যা বিনিময়ের মাধ্যম যা মুদ্রার ইউনিট উৎপাদন, লেনদেন পরিচালনা এবং এনক্রিপশন পদ্ধতি ব্যবহার করে তহবিলের স্থানান্তর যাচাইকরণে জড়িত প্রসেস নিয়ন্ত্রণ ও নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি  ।  
প্রচলিত ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলোর মধ্যে বিটকয়েন সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় , এছাড়াও রয়েছে লাইট কয়েন , ইথেরিয়াম কয়েন , ডজ বা ডগি কয়েন ইত্যাদিবিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর প্রচলন রয়েছে , এর উপকারিতাও অনেকঃ * ডিজিটাল মুদ্রায় বড় বা ছোট স্কেলে একযোগে কাজ করার সামর্থ্য আছে। 

ক্রিপ্টোকারেন্সী এর সুবিধাঃ

* বিদেশী মুদ্রার অধিবাসীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে কারণ তারা একটি এনক্রিপ্টেড ডিজিটাল বোতামে টোকড করা ইলেকট্রনিক 
   মুদ্রাগুলি আটকে রাখার বিলাসিতা ভোগ করে, যা তারা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

* তারা সম্পূর্ণ ডিজিটাল হতে থাকে কিন্তু জাল বা নকল হতে পারব না ।

* খনি শ্রমিকদের প্রায়ই তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয় তাদের নেটওয়ার্ক দ্বারা বিনিময় ফি ছারাই ।

* সনাক্তকরণের মাধ্যমে চুরির সুযোগকে কমিয়ে দেয়; একজন ব্যক্তি কেবল বণিককে তাদের আরও তথ্যের সাথে যা 
   প্রয়োজন তা পাঠায়।

* এটা খুব সহজেই দেখতে পাওয়া যায় কারণ প্রায় 2.2 বিলিয়ন লোক যাদের শুধুমাত্র মোবাইল ফোনে নয় কিন্তু ওয়েবে 
   অ্যাক্সেস আছে তবে প্রথাগত বিনিময় সিস্টেমের কাছে সত্যিই অ্যাক্সেসযোগ্যতা নেই।

* এটি কোনও কেন্দ্রীভূত কর্তৃপক্ষের ছাড়াই ব্যবহারকারী-টু-ইউজার ভিত্তিতে পরিচালনা করে, ফলে ম্যানিপুলেশন এবং 
   হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।

ডার্ক ওয়েব নিয়ে আমাদের সম্পূর্ণ সিরিজ পড়তে চাইলে এখানে - Click Here

বিজ্ঞাপন - এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইনে আয় শীর্ষক কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 

আতঙ্কের নতুন নাম ব্লু হোয়েল। একাধিক টাস্ক। অবশেষে আত্মহত্যা। গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে বিভীষিকা। ছেলে-মেয়ের দিকে বিশেষ নজর রাখতে বলেছেন স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষ। সাইবার জগতের বিশেষজ্ঞরাও একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন। রাশিয়া, অ্যামেরিকা ও ইউরোপের পর এশিয়ার ভারতেও হানা ব্লু হোয়েলের। শুধু ব্লু হোয়েল নয়, এই তালিকায় আছে আরও অনেক গেম। যা রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে অভিভাবকদের। কী সেই সব গেম ও চ্যালেঞ্জ ? জেনে রাখুন, সাবধান থাকুন।



দা টাচ মাই বডি চ্যালেঞ্জ : বাংলায় এই খেলার নাম কানামাছি ভোঁ ভোঁ। শৈশবে প্রত্যেকেই কমবেশি খেলেছে। কিন্তু অনলাইনে অত্যন্ত বিপজ্জনক খেলাগুলোর মধ্যে একটি। চোখ বেঁধে একদল ছেলেমেয়ে এই খেলায় অংশ নেয়। সেই খেলার ভিডিও করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে হবে। অধিকাংশ সময় ভিডিওতে দেখা গেছে, শরীরের গোপন অংশে হাত দিতে দেখা গেছে ওই চোখ বাঁধা পুরুষ বা নারীকে। শেষ দু’সপ্তাহে সোশাল মিডিয়া এই চ্যালেঞ্জ খেলেছেন অসংখ্য ব্যবহারকারী। এই ধরনের ভিডিও খুব তাড়াতাড়ি ছড়ায়। সামাজিক সম্মানও নষ্ট হয়।

ডিওডোরেন্ট চ্যালেঞ্জ : শরীরের চামড়া থেকে মাত্র কয়েক ইঞ্চি দূর থেকে ডিও স্প্রে করতে হবে। সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে হবে। কে কতক্ষণ বেশি করতে পারছে, সেটাই চ্যালেঞ্জ। শিশু বা নাবালকদের চামড়া পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভবিষ্যতেও সেই দাগ থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

পাস আউট চ্যালেঞ্জ : WWE বা ইউটিউবের ভিডিও দেখে বাচ্চারা নিজেদের গলা টিপে ধরছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শ্বাস রোধ না হয়, তা চলবে। সেই ভিডিও পোস্ট করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করছে। পাস আউট চ্যালেঞ্জে মৃত্যু হয়েছে অনেক স্কুলশিশুর।

স্ন্যাপস্ট্রিক চ্যালেঞ্জ : স্ন্যাপচ্যাটে পরস্পরকে স্ন্যাপ করলে একটি পয়েন্ট পাওয়া যায়। একে বলা হয় স্ন্যাপস্ট্রিক। একদিন স্ন্যাপ না পাঠালেই সব স্কোর শূন্য। আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। এটাতেই গেমের আসল রহস্য। স্ন্যাপস্ট্রিক কাউন্ট ভালো না হলে সোশাল জগতে ভালো মর্যাদা পাওয়া যায় না। বন্ধুরা মনে করবে, আপনার শিশু ভালো বন্ধু নয়। এই থেকে হীনমন্যতায় ভোগা শুরু শিশু ও নাবালকদের। নেশায় বুঁদ হয়ে সারাদিন মোবাইলে সময় কাটাচ্ছে তারা। তাতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে আগামী প্রজন্ম।

সল্ট অ্যান্ড আইস চ্যালেঞ্জ
সল্ট অ্যান্ড আইস চ্যালেঞ্জ

সল্ট অ্যান্ড আইস চ্যালেঞ্জ : গত বছর সোশাল মিডিয়ায় এই গেমের মারাত্মক প্রভাব পড়ে। নাবালক-বালিকারা তাঁর শরীরের যে কোনও অংশে প্রথমে নুন রাখে। তারপর ঠান্ডা বরফের কিউব রাখে সেখানে। ফল হয় মারাত্মক। জ্বলে যায় শরীরের সেই অংশ। এই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে হয়। 



এর থেকে বাঁচতে কি করা যায়?
১। প্রথমত চাই আপনার সচেতনতা। কেন আপনি অপরের নির্দেশনায় যাকে আপনি কখনও দেখেন নি, যার পরিচয় জানেন না তার কথায় কেন নিজের জীবন অকালে বিলিয়ে দিবেন! 
২। এই রকম কোন লিংক আসলে তাকে এড়িয়ে চলা। সমাজের তরুন ছেলে-মেয়ে থেকে শুরু করে সব বয়সীদের মাঝে এই গেমের আদ্যোপান্ত সম্পর্কে বলা।
৩। আপনার সন্তানকে মোবাইলে ও কম্পিউটারে অধিক সময়ে একাকী বসে থাকতে দেখতে সে কি করছে তার খোঁজ খবর নেয়া। সন্তানকে কখনও একাকি বেশি সময় থাকতে না দেয়া এবং এই সব গেমের কুফল সম্পর্কে বলা। 
৪। সন্তানদের মাঝে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার মানসিকতা সৃষ্টি করা। যাতে করে তারা বুঝতে পারে আত্মহত্যা করা বা নিজের শরীরকে ক্ষতবিক্ষত করা অনেক বড় পাপের কাজ। 
৫। আপনার সন্তান ও পরিবারের অন্য কোন সদস্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কি না সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা। কেউ যদি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয় তাকে সঙ্গ দেয়া।
৬। আমাদের সকলেরই ফেসবুক আইডি আছে, যাতে কিছু না কিছু অন্য দেশের অচেনা বন্ধুরাও আছে। এদের সকলের থেকে সাবধান। হতে পারে, এদের মাঝেই লুকিয়ে আছে এসকল ভয়ংকর কিছু গেমের মডারেটররা। 
২০১৩ সালে রাশিয়ায় শুরু হয় ওই মারণ খেলা৷ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দুবছর পরে৷ প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, নীল তিমিরা মারা যাওয়ার আগে জল ছেড়ে ডাঙায় ওঠে৷ যেন আত্মহত্যার জন্যই৷ সেই থেকেই এই গেমের নাম হয়েছে ‘ব্লু হোয়েল' বা নীল তিমি৷
ইদানীং ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে একাধিক দুর্ঘটনা এবং আত্মহত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ‘ব্লু হোয়েল গেম'-এর৷ হু হু করে বাড়ছে আত্মহননের ঘটনা৷ পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন মাসে রাশিয়া এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় মোট ১৬ জন তরুণীর আত্মহত্যার খবর মিলেছে৷ এদের মধ্যে সাইবেরিয়ার দুই স্কুলছাত্রী য়ুলিয়া কনস্তান্তিনোভা (১৫) এবং ভেরোনিকা ভলকোভা (১৪) একটি বহুতলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে৷ তদন্তে নেমে পুলিশের নজরে আসে এই ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম'৷ শুরুর টাস্কগুলি অবশ্য তেমন ভয়ংকর নয়৷ বরং বেশ মজারই৷ আর সেই কারণেই এই গেমের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা৷

প্রথমে সাদা কাগজে তিমি মাছের ছবি এঁকে শুরু হয় খেলা৷ তারপর খেলোয়াড়কে নিজেরই হাতে পিন বা ধারালো কিছু ফুটিয়ে নিজের রক্ত দিয়ে আকঁতে হয় সেই তিমির ছবি৷ একা ভূতের ছবি দেখতে হয়, আবার ভোর চারটে কুড়ি মিনিটে ঘুম থেকেও উঠতে হয়৷ চ্যালেঞ্জের মধ্যে অতিরিক্ত মাদকসেবনও রয়েছে৷ এই খেলায় প্রত্যেকেই মারা গিয়েছেন, এমনটা নয়৷ মারাত্মক আঘাত নিয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জাও লড়ছেন অনেকে৷ গেমের লেভেল যত এগোয়, ততই ভয়ংকর হতে থাকে টাস্কগুলি৷ এই টাস্কগুলিতে অংশগ্রহণের পর সেই ছবি পোস্ট করতে হয় এর গেমিং পেজে৷জার্মানির আরেক গেম ডিজাইনার ক্যারোলিন গেপার্ট৷ তার নিজের একটি গেম তৈরির কোম্পানি রয়েছে, যার নাম ‘ইয়ো মেই’৷ শুরুতে কাজ করতেন একটি কোম্পানিতে৷ সেখানে কাজ শিখে পরে নিজেই নিজের সংস্থাটি খোলেন৷ কিন্তু তিনি বুঝে উঠতে পারেন না, কেন গেম শিল্পে মেয়েদের উপস্থিতি এতটা কম৷
প্রতিযোগিতার একেবারে শেষ পর্যায়ে, অর্থাৎ ৫০তম টাস্কের শর্তই হলো আত্মহনন৷ রাশিয়া পুলিশের আশঙ্কা, সাম্প্রতিককালে গোটা বিশ্বে আত্মঘাতী হওয়া অন্তত ১৩০ জনের আত্মহননের পেছনে রয়েছে এই ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম'৷ এই গেমিং অ্যাপ মোবাইলে একবার ডাউনলোড হয়ে গেলে তা আর কোনোভাবেই ডিলিট করা সম্ভব নয়৷ শুধু তাই নয়, ওই মোবাইলে ক্রমাগত নোটিফিকেশন আসতে থাকে যা ওই মোবাইলের ইউজারকে এই গেম খেলতে বাধ্য করে৷

ভূগোলের শিক্ষক মৌসম মজুমদারের কথায়, ‘‘এই সমস্যার শিকড় অনেক গভীরে৷ কেন ছেলে-মেয়েরা কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলে বেশি সময় দিচ্ছে, অনেক অভিভাবকের সেদিকে তাকানোর সময় নেই৷ ফলে বিপদ তাদের নজর এড়িয়ে ঘরে ঢুকছে৷ বাবা-মায়েদের তাদের সন্তানদের আরও বেশি সময় দেওয়াই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান৷'


ব্লু হোয়েল'-এর মতো বিপজ্জনক অনলাইন গেমস-এর লিঙ্ক সরানোর নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার৷ গুগল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, মাইক্রোসফ্ট এবং ইয়াহু থেকে অবিলম্বে এই লিংক সরাতে হবে৷ কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে খবর, অনলাইন গেমসের নেশায় মেতে বিশ্ব জুড়েই একাধিক দুর্ঘটনা ও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে৷ ভারত তার ব্যতিক্রম নয়৷ সম্প্রতি মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের একাধিক ঘটনার খবর শোনা গিয়েছে৷ তাতে যে ‘ব্লু হোয়েল'-ই জড়িত তেমন অভিযোগও উঠেছে৷ সরকার যে নির্দেশ পাঠিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ‘অবিলম্বে ব্লু হোয়েল বা এ ধরনের বিপজ্জনক গেমসের লিঙ্ক সরিয়ে ফেলতে হবে৷' কেন্দ্রীয় আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নির্দেশের পরই ওই পাঁচ সংস্থাকে ‘ব্লু হোয়েল' সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে৷

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ঋতম গিরি মনে করেন, মারণ এই খেলা থেকে তরুণ-তরুণীদের রক্ষা করার একমাত্র উপায় হলো বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ফিরিয়ে আনা৷ জলজ্যান্ত মানুষের অবহেলা থেকেই ছাত্রছাত্রীরা অনলাইন গেমের দিকে ঝুঁকছে৷
ফিলিপ বুদেইকিন নামে সাইকোলজির এক প্রাক্তন ছাত্র নিজেকে ওই গেমের আবিষ্কর্তা বলে দাবি করে৷ বছর একুশের ওই রুশ যুবকের দাবি, যারা মানসিক অবসাদে ভোগেন, প্রতিনিয়ত আত্মহত্যার কথা ভাবেন, তাদের আত্মহত্যার জন্য মজাদার পথ বাতলাতেই এই গেমের ভাবনা৷ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে৷ পুলিশকে ফিলিপ বলেছে, ‘‘সমাজকে পরিচ্ছন্ন করাই” নাকি তার উদ্দেশ্য৷

বেশ কয়েক বছর ধরেই রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে অনলাইন গেম, বিশেষত অভিভাবকদের কাছে৷ তবে শুধু অভিভাবকরাই নন, অনলাইন গেমের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আসক্তি চিন্তা বাড়িয়েছে মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানীদেরও৷ শিশুদের বুদ্ধির স্বাভাবিক বিকাশের ক্ষেত্রেও নাকি বড়সড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন ধরনের গেম৷ অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, বাড়ছে দুর্ঘটনাও৷ এর সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। 
ফিলিপ বুদেকিন
ফিলিপ বুদেকিন

বিগত কয়েক বছর ধরেই অনলাইন গেম রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে অভিভাবকদের কাছে। শুধু অভিভাবকরাই নন, অনলাইন গেমের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আসক্তি চিন্তা বাড়িয়েছে মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানীদেরও। শিশুদের বুদ্ধির স্বাভাবিক বিকাশের ক্ষেত্রেও নাকি অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই গেমের নেশা। অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। বাড়ছে দুর্ঘটনাও। আর অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা।

ইদানীংকালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে একাধিক দুর্ঘটনা এবং আত্মহত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’ নামের একটি সোশ্যাল গেমিং-এর। পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন মাসে রাশিয়া এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় মোট ১৬ জন তরুণীর আত্মহত্যার খবর পেয়েছিল পুলিশ। এদের মধ্যে সাইবেরিয়ার দুই স্কুলছাত্রী য়ুলিয়া কনস্তান্তিনোভা (১৫) এবং ভেরোনিকা ভলকোভা (১৪) একটি বহুতলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। তদন্তে নেমে পুলিশের নজরে আসে এই ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’। এই গেমে প্রতিযোগীদের মোট ৫০টি আত্মনির্যাতনমূলক লেভেল কমপ্লিট করতে হতো। ভয়ঙ্কর ছিল সেই সমস্ত লেভেল ও তার টাস্কগুলি। গেমের শুরুর টাস্কগুলি অবশ্য তেমন ভয়ঙ্কর নয়। বরং বেশ মজারই। আর সেই কারণেই এই গেমের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা। কিন্তু গেমের লেভেল যত এগোয়, ততই ভয়ঙ্কর হতে থাকে টাস্কগুলি।
এই টাস্কগুলিতে অংশগ্রহণের পর সেই ছবি পোস্ট করতে হয় এর গেমিং পেজে। প্রতিযোগিতার একেবারে শেষ পর্যায়ে, অর্থাৎ ৫০তম টাস্কের শর্তই হল আত্মহনন। পুলিশের অনুমান, সাম্প্রতিক কালে আত্মঘাতী ১৬ জন তরুণীই এই গেমের ৫০তম টাস্কের শর্ত অনুযায়ী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিল। রাশিয়া পুলিশের আশঙ্কা, সাম্প্রতিক কালে গোটা বিশ্বে আত্মঘাতী হওয়া অন্তত ১৩০ জনের আত্মহননের পেছনে রয়েছে এই ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, এই গেমিং অ্যাপ মোবাইলে একবার ডাউনলোড হয়ে গেলে তা আর কোনও ভাবেই ডিলিট করা সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, ওই মোবাইলে ক্রমাগত নোটিফিকেশন আসতে থাকে যা ওই মোবাইলের ইউজারকে এই গেম খেলতে বাধ্য করে।
তদন্তে নেমে দিন কয়েক আগেই পুলিশ হদিস পায় এই গেম-এর পেজ অ্যাডমিন-কে। নাম ফিলিপ বুদেকিন, বয়স ২১ বছর। ফিলিপ রাশিয়ারই বাসিন্দা। সে ভিকোন্তাক্তে নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় চালাত তার এই মারাত্মক গেম। ইতিমধ্যেই ফিলিপকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের জেরায় এই গেম চালানোর কথা স্বীকারও করেছে সে। কিন্তু কোনও ভাবেই এই কাজকে অপরাধ বলে মানতে নারাজ ফিলিপ। তার মতে, সমাজে যাঁদের বেঁচে থাকা উচিত নয়, সে তাঁদেরকেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। ফিলিপ আপাতত সেন্ট পিটার্সবার্গের ক্রিস্টি জেলে বন্দি। বর্তমানে ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’টি রাশিয়ার গণ্ডী পেরিয়ে ব্রিটেনের তরুণ-তরুণীদের মধ্যেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যা চিন্তা বাড়িয়েছে ইউরোপের একাধিক মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানীর।