লিট বাংলা ডট টেক, প্রযুক্তির হাতেখড়ি হোক বাংলাতেই।

হ্যাকিং / সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক বাংলা প্রযুক্তির ব্লগ

 পাইথন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ডিমান্ডিং প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। বর্তমানে আইটির প্রায় সব সেক্টরেই পাইথন ব্যবহার হয়ে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এর ব্যবহার অপ্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে।পাইথনের জনপ্রিয়তার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল এটি বেশ সহজে শেখা যায়। আর এই ল্যাঙ্গুয়েজে একবার দক্ষ হয়ে উঠলে একই দক্ষতাতেই অনেক ফিল্ডে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।

ক্যারিয়ার সেক্টরঃ ওয়েব ডেভেলপার, ওয়েব এপ্লিকেশন ডেভেলপার, ব্যাকএন্ড ইঞ্জিনিয়ার, সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিষ্ট, Python / Django ডেভেলপার, সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার।

কোর্স আউটলাইনঃ
 Conditional Statements
 Looping
 Control Statements
 String Manipulation
 Lists
 Tuple
 Dictionaries
 Functions
 Lambda Operator, Filter, Reduce and Map
 List Comprehension
 Modules
 Input-Output
 Exception Handling
 Packages
 File Handling
 OOPS
 Introduction to Django Introduction to Back-End Web Development using Django
 Advanced Django for Web and Automation
 Building Web APIs using Django REST
 Deploying Web APIs
 Scrapping with BeautifulSoup
     bangla python course

যারা পাইথনের মাস্টারক্লাস কোর্সে অংশ নিতে পারবেনঃ
# অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এ আগ্রহী
# চাকুরী প্রত্যাশী
# ছাত্র-ছাত্রী
# প্রবাসী
# সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা।


ক্লাস শুরুঃ ১৬ ই মার্চ, ২০২৩
ক্লাস সময়ঃ সোমবার এবং বুধবার, রাতঃ ৯.৩০ থেকে রাত ১১.৩০ পর্যন্ত।
প্র্যাকটিসঃ শুক্রবার (আপনার সুবিধা অনুযায়ী যে কোন ৩ ঘন্টা নির্ধারণ করে নিতে পারবেন।)
কোর্স ফিঃ ২০ হাজার টাকা। (দুই ধাপে পরিশোধ যোগ্য)

কোর্স ট্রেইনারঃ জাওয়াদ হাফিজ
Chief Technology Officer, Arena Web Security
Freelancer, Cyber Security Specialist

কোর্স প্রোগ্রাম এডভাইজরঃ তানজিম আল ফাহিম
# Certified in Open Source Intelligence (C|OSINT)
Bentley Training and Consultancy, United Kingdom
# Computer Hacking Forensics Investigator (CHFI) 
CertNexus,  United States of America (USA)


পাইথনের সুবিধা কী কী?
# পাইথন কোড লেখা, বোঝা ও শেখা সহজ।
# পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজের নিয়মগুলো সহজ বলে ডেভেলপমেন্টে কম সময় লাগে।
# কোড লেখার সময় কোনো ভুল হলে তা নির্ণয় করা বা ডিবাগিং তুলনামূলকভাবে সহজ।
# দরকারি ফাংশনগুলোর জন্য পাইথনের বিশাল লাইব্রেরি সাপোর্ট রয়েছে।
# একবার কোড লিখে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আপনি কোড চালাতে পারবেন।
# ভ্যারিয়েবল বা ডেটা টাইপ নিয়ে আপনাকে খুব বেশি মাথা ঘামাতে হবে না।
# পাইথন ওপেন সোর্স ল্যাঙ্গুয়েজ হবার কারণে যেকোনো অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টে যেকোনোভাবে আপনি একে ব্যবহার করতে পারেন।

পাইথন কোথায় ব্যবহার করতে পারবেন?
# ডেটা অ্যানালিসিস ও ভিজ্যুয়ালাইজেশনে
# ইন্টারনেট থেকে ডেটা কালেকশনে বা স্ক্র্যাপিংয়ে
# অটোমেশনের কাজে
# ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ও টেস্টিংয়ে
# গেম ডেভেলপমেন্টে
# মেশিন লার্নিং আর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রজেক্টে

ভর্তির জন্য আবেদনঃ https://arenawebsecurity.net/admission

==============================================
Call:  +8801310-333-444 অথবা
WhatsApp: https://wa.me/8801310333444
==============================================

🏠 একাডেমি:
==============================
Arena Web Security
B/1, Main road, Banasree, Rampura, Dhaka - 1219
info@arenawebsecurity.net
==============================

ইন্টারনেটের মাধ্যমে পুরো বিশ্ব এখন আমাদের সবার হাতে। ব্যক্তিগত কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনেই হোক, ইন্টারনেটের নিয়মিত ব্যবহারে আমরা অনেকেই এতে প্রায় দক্ষতা অর্জন করেছি।  ডিজিটাল বিশ্বের সকল উন্নত রাষ্ট্র যখন তাদের চাহিদা এবং গুরুত্বের দিক থেকে সাইবার সিকিউরিটিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছে আমরা তখনো বিষয়টা নিয়ে উদাসীন। যার ফলপ্রসুত সকলে কমবেশি প্রতিনিয়তই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি । ব্যাক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়েই হোক না কেনো,  এখন Cyber Security মানুষের অন্যতম চাহিদা হয়ে দাড়াচ্ছে।  

সাইবার সিকিউরিটির এই আলোচনায় আমরা তিন ধরনের প্রশ্ন দিয়ে আলোচনা করবো। প্রশ্ন গুলো হচ্ছে - কি ? কেন ? এবং কিভাবে? 

সাইবার সিকিউরিটি (Cyber Security) কি?

সাইবার সিকিউরিটি অনেক বিশাল পরিধির একটি  বিষয়। সংক্ষিপ্ত ভাষায় যদি বলা হয় তাহলে ইন্টারনেটে হ্যাকিং বা ম্যালওয়ার অ্যাটাক থেকে নিজে কিংবা নিজের সিস্টেম বাচতে যেসব ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং ওয়েবসাইট, নেটওয়ার্ক, এপ্লিকেশন ছাড়াও নিজেদের ব্যাবহৃত ইলেক্ট্রিক ডিভাইস গুলোতে সাইবার আক্রমন প্রতিহত করার পদ্ধতি সবই সাইবার সিকিউরিটির অন্তর্ভুক্ত।   

হ্যাকিং শব্দটি যেহেতু এসেই পড়লো এ নিয়ে কিছু কথা হয়ে যাক , যারা হ্যাকিং করে তাদের বলা হয় হ্যাকার । অনেকেরই ধারনা হ্যাকাররা মেধাবী বা কম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষ কিন্তু তারা অসৎ। কিন্তু আমাদের সচরাচর এই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভূল। কারণ সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে যারা কাজ করে তারাও কিন্তু হ্যাকার, অন্যান্য হ্যাকার থেকে তাদের প্রধান পার্থক্যই হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা তাদের মেধা ও কম্পিউটার পরিচালনার দক্ষতা ভাল এবং প্রফেশনাল কাজে ব্যয় করে। যার ফলে স্বপ্নীল এই হ্যাকিং জগতে তারা ক্যারিয়ার গঠনের পাশাপাশি তাদের জ্ঞানকে সকলের উপকারে ব্যাবহার করতে পারে। 


সাইবার সিকিউরিটি (Cyber Security)জানা কেনো  প্রয়োজন?

বর্তমানের সব কিছুই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে। সে সাথে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে যাওয়ার জন্য সেটি হয়ে গেছে ইন্টারনেট নির্ভরও। আমাদের ব্যাক্তিজীবন থেকে কর্মজীবন সবই এখন ইন্টারনেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এর জন্য সকলেরই সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। বর্তমান বিশ্বের বড়ো সব প্রতারনা বা স্ক্যাম গুলোও হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে । সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে কম জ্ঞানের কারনে মানুষ খুব সহজেই প্রতারনার শিকার হচ্ছে। সেগুলো থেকে নিজে এবং নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত করার জন্যও আমাদের সকলের কম বেশি সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। 

এছাড়াও প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে সাইবার সিকিউরিটি হতে পারে ক্যারিয়ার গঠনের বড় একটি সুযোগ।  বর্তমানে বড় বড় সকল প্রতিষ্ঠানই অনলাইনে তাদের কার্যক্রম নিরাপদে রাখার জন্য সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিচ্ছে। শুধুই কি কোন প্রতিষ্ঠান? তা কিন্তু নয়।  প্রায় সকল দেশ তাদের নিজস্ব নিরাপত্তায় সরকারী ভাবে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট নিয়োগ দিচ্ছে। এমন কার্যক্রম আমাদের দেশেও হচ্ছে। ইথিক্যাল হ্যাকিং এখন ফ্রীল্যান্সিং এর একটি জনপ্রিয় বিষয়ও হয়ে উঠছে। সাইবার নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হওয়ায় আইটির যে কোন চাকুরিতেই আপনার এই জ্ঞান থাকাটা বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে। সাইবার সিকিউরিটি , বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা সিস্টেমের নিরাপত্তা দুর্বলতা নির্ণয় করে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টরা পাচ্ছেন বড় পুরুষ্কার । ক্যারিয়ার হিসেবে তাই সাইবার সিকিউরিটি হতে পারে আপনার মতো একজন আইটি প্রিয় মানুষের জন্য প্রথম পছন্দের বিষয়।  

সাইবার সিকিউরিটি কোর্স, এরিনা ওয়েব সিকিউরিটি

কিভাবে শিখবেন সাইবার সিকিউরিটি (Cyber Security) ?

সরাসরি সাইবার সিকিউরিটি বিষয়টি আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে না থাকায় ,আপনি  বেসরকারী কোন প্রতিষ্ঠান থেকে সাইবার সিকিউরিটির কোর্স করতে পারেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম  ফোর্বসের একটি আর্টিকেলে ১৩টি উচ্চ বেতনের চাকরির কথা বলা হয়েছে, যেগুলোতে কোনো ধরনের ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। এর মধ্যে সাইবার সিকিউরিটি অন্যতম। শুধুমাত্র দক্ষতা দিয়েই এই পথে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। 

আপনি  নিজেই এই সম্পর্কে ধারনা পেতে গুগল এবং ইউটিউবের সাহায্য নিতে পারেন,ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষায় সেখানে অসংখ্য রিসোর্স পাওয়া যাবে। প্রয়োজন শুধু ধৈর্য্য ও অনুশীলন। আপনি বাংলায় সাজানো রিসোর্স পেতে চাইলে সাইবার ৭১ এর Learn with Cyber 71 ( লিঙ্কঃ  https://www.youtube.com/c/LearnwithCyber71 ) এই ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন। বাংলাতে এখানে সাইবার সিকিউরিটি, ইথিক্যাল হ্যাকিং শীর্ষক কয়েকটি ডেমো ক্লাস রয়েছে।  বিদেশি কিছু প্রতিষ্ঠান পরীক্ষার মাধ্যমে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হিসেবে সনদ প্রদান  করে। আপনি  CEH, CISM, CISSP, CISA  সার্টিফিকেশন গুলোকে আপনার পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন।  তবে এসব প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা দেয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই প্রফেশনালই সাইবার সিকিউরিটি শিখতে হবে । দেশের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক সাইবার নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ সেন্টার এরিনা ওয়েব সিকিউরিটি  হতে পারে আপনার প্রধান পছন্দ। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর যোগ করে কোর্সটিকে সাজানো হয়েছে যার ফলে আপনি ইথিক্যাল হ্যাকিং এর উপর অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করে নিতে পারেন। ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের জন্য এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির কোর্স করাটি হতে পারে আপনার জন্য একটি সুন্দর এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।  


কেন এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির কোর্স করবেন?

সম্পূর্ন অনলাইন ল্যাব ভিত্তিক কোর্স এবং মিড এক্সামের সুবিধা।  তাই চাকুরীজীবী কিংবা ছাত্র, যেকোন পেশার মানুষই অনলাইন থেকে নিজস্ব সার্ভারের মাধ্যমে ক্লাসে যোগদান করতে পারবে।

দেশসেরা কয়েকজন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের দ্বারা প্রশিক্ষণ এবং তাদের তত্বাবধানে ইন্টার্ন হিসেবে মার্কেটপ্লেসে প্র্যাক্টিস এর সুযোগ। একদম ব্যাসিক থেকে শুরু হওয়ায় কোর্স করার পূর্বে প্রোগ্রামিং সংক্রান্ত জ্ঞান না থাকলেও চিন্তা নেই। যেকোন বয়স বা যেকোন পেশার মানুষের উপযোগী করেই তৈরী করা হয়েছে কোর্স আউটলাইন। পরীক্ষা পরবর্তী অনলাইন ভেরিফাই প্রসেসের মাধ্যমে সার্টিফিকেশন প্রদান করা হয় যার ফলে সাইবার সিকিউরিটির সার্টিফিকেশন আপনি বিশ্বব্যাপি যে কোন প্রতিষ্ঠানেই ব্যাবহার করতে পারছেন। 

কোর্স সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানুন এখান থেকে, ইথিক্যাল হ্যাকিং - সাইবার সিকিউরিটি কোর্স

মানবদেহে কোষের উপর ভাইরাসের প্রভাব খতিয়ে দেখা এবং চিকিৎসার বিষয়ে দিকনির্দেশ করতে পারে সুপার কম্পিউটার।
ইউরোপে করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চালানো কয়েকটি সুপার কম্পিউটার হ্যাক করা হয়েছে। এমনই জানানো হয়েছে কয়েকটি ল্যাবরেটরির পক্ষ থেকে। সুইৎজারল্যান্ড, জার্মানি ও ব্রিটেনের ল্যাবরেটরিগুলির সুপার কম্পিউটার হ্যাক করা হয়েছে। হ্যাক হওয়ার ফলে কয়েকটি কম্পিউটার নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে। কারা হ্যাক করেছে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।

সুপার কম্পিউটার হ্যাক
করোনা নিয়ে গবেষণায় সাহায্য করছে সুপার কম্পিউটার। মানবদেহে কোষের উপর ভাইরাসের প্রভাব খতিয়ে দেখা এবং চিকিৎসার বিষয়ে দিকনির্দেশ করতে পারে সুপার কম্পিউটার। কিন্তু হ্যাকিংয়ের ফলে সেই গবেষণা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ল্যাবগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হ্যাকিংয়ের ফলে সুপার কম্পিউটারগুলির লগইন পোর্টালই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনও যন্ত্রাংশের ক্ষতি হয়নি। এ বিষয়ে একটি ল্যাবের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী জানিয়েছেন,  ‘এর অর্থ, হ্যাকাররা গবেষণা সংক্রান্ত নথি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল বা গবেষণায় বাধা দিতে চাইছিল।’

সুইস ন্যাশনাল সুপার কম্পিউটিং সেন্টারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘সাইবার হামলার মুখে পড়েছে বেশ কয়েকটি ইউরোপিয়ান (হাই পারফরম্যান্স কম্পিউটিং) ও অ্যাকাডেমিক কম্পিউটার সাইট। আমাদের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়াররা সুপার কম্পিউটারগুলি ফের সক্রিয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’

ইউকে ন্যাশনাল সুপার কম্পিউটিং সার্ভিসের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, সাইবার হানায় গবেষণা ব্যাহত হচ্ছে। এখনও সিস্টেম ঠিক করা সম্ভব হয়নি।

এ মাসের ১৩ তারিখ ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন ও ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পক্ষ থেকে সতর্কবার্তায় বলা হয়, চিনের হ্যাকাররা সাইবার হামলা চালাতে পারে। সেই আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে হামলা চালাল হ্যাকাররা। তবে চিনের হ্যাকাররাই হামলা চালিয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।



নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঁচ শতাধিক কুকুরকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার প্রতিবাদে ‘বাঁচাও বিধাতা’ স্লোগানে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রাণী কল্যাণে সর্ব সংগঠন এ মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার সার্ক ফোয়ারার সামনে স্বতঃস্ফূর্ত এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গল ও বুধবার ঘাটফরহাদবেগ, মোহাম্মদপুর ও উত্তর আগ্রাবাদে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা বিষ খাইয়ে বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করছে বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সরকারি সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষক ও ছড়াকার আলেক্স আলীম বাংলানিউজকে বলেন, কুকুর প্রভুভক্ত, উপকারী প্রাণী। যদি বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা বেড়ে যায় নগরীতে তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি (বন্ধ্যাকরণ) প্রয়োগ করা যেতে পারে। আইন না মেনে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নির্বিচারে, অমানবিকভাবে কুকুর নিধন সমাধান হতে পারে না। ভারতে সাপের কামড়ে অনেক মানুষ মারা যায়, কিন্তু তাই বলে কি সাপ মেরে ফেলে তারা? কুকুরসহ যেকোনো প্রাণী পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।   

তবে উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক বলেছেন, কুকুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় লোকজন কিছু কুকুরকে মেরে ফেলেছে বলে শুনেছি। তবে এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর সঙ্গে চসিকের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। 

কুকুর নিধনের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন শনিবার

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাত নয়টায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, একজন মিডিয়াকর্মী ফোন করে নগরীতে কুকুর নিধনের বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। আরেকজন সাংবাদিক কুকুরের বন্ধ্যাকরণ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। এর আগে বা পরে আর কোনো সংগঠন বা ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো অভিযোগ বা খবর পাইনি।

তিনি বলেন, কুকুরকে বন্ধ্যা করতে হলে অস্ত্রোপচার, এন্টিবায়োটিক, ইঞ্জেকশন থেকে শুরু করে সুস্থ করা পর্যন্ত গড়ে ২ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। নগরীতে ৪ লাখের বেশি কুকুর আছে। আমাদের তো এ ধরনের কোনো তহবিল বা প্রকল্প নেই।            

চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে চসিক কুকুর নিধন কর্মসূচি বন্ধ রেখেছে। আমরা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সুপারিশের ভিত্তিতে কুকুরে কামড়ানো মানুষকে চসিক জেনারেল হাসপাতালে ভ্যাকসিন দিয়ে থাকি।

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, ২৬ বছর সিটি করপোরেশনে চাকরি করছি। নিষেধাজ্ঞার আগে কুকুর মারত চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ। চসিকের বিরুদ্ধে এখন যে ঢালাও অভিযোগ উঠেছে খোঁজখবর নিয়ে তার কোনো সত্যতা পাইনি আমরা। এখন তো মাঘ মাস, আগে ভাদ্র মাসে কুকুরের উপদ্রব বাড়ত।

চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমন বাংলানিউজকে বলেন, চসিকের উত্তরোত্তর সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে বেশ কিছু মহল সুকৌশলে বিভিন্ন বানোয়াট বিষয়কে ইস্যু বানিয়ে, তরুণ প্রজন্মকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে। তারূণ্য শক্তিকে তারা অপব্যয় করছে তাদের হীন নীচ স্বার্থ হাসিল করতে। মহামান্য আদালতের রায়ের বিপক্ষে চসিক কখনোই যায় নি। বরং আইনের প্রতি ভীষণ শ্রদ্ধাশীল। ফেসবুকে কুকুর প্রেমী একটি গ্রুপে সংগৃহীত কিছু ছবি প্রকাশ করে দাবি করা হয়েছিল সিটি করপোরেশন নির্বিচারে কুকুর নিধন করেছে। অথচ ছবিগুলো কোথায় তোলা হয়েছে, কবেকার ছবি সেসব নিয়ে কোন সুস্পষ্ট বক্তব্য নেই।

তিনি বলেন, ফেসবুকে প্রকাশিত ছবিগুলোতে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে সেসব মৃত কুকুরগুলো প্রকাশ্য দিবালোকে ডাস্টবিন, নর্দমার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। অত্যন্ত হাস্যকর ব্যাপার যে, চসিক কি এতটাই নির্বোধ যে এরকম অমানবিক কাজ করার পরে, সেটা আবার প্রকাশ্য দিবালোকে ফেলে রাখবে?

নগরীতে কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে কিনা জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে জানান, সপ্তাহখানেক আগে বাঁশখালীতে কুকুরের উপদ্রব বেড়েছিল। কুকুরের কামড়ে আহতদের ভ্যাকসিনও দিয়েছি আমরা। নগরীতে এখনো কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে বা কুকুরের কামড়ে অনেক মানুষ আহত হচ্ছে এমন খবর পাইনি।  

২০১৪ সালে একটি বেসরকারি সংস্থার রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে কুকুর নিধন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ২০১৪ সালেই ঢাকা সিটি করপোরেশন কুকুর নিধন কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার কাজ শুরু করে। পরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন আলাদা করে ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

ভার্চুয়াল জগৎ সীমাহীন বিস্তৃত ও পরিব্যপ্ত। তাই এখানে ইসলামী মূল্যবোধ ও ধর্মীয় আবহ টিকিয়ে রাখা অনেকের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আর তাই ‘সালামওয়েব’ নামে একটি নতুন ব্রাউজার তৈরি করেছে মালয়েশিয়াভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সালাম ওয়েব টেকনোলজিস। এতে মুসলিমদের ধর্মীয় মূল্যবোধ অক্ষত রাখা সহজ হবে বলে ধারণা তাদের।

জানা গেছে, অনলাইন জগতকে পক্ষপাত মুক্ত রাখতে এবং ব্রাউজারের অপব্যবহার রোধে এটি চালু করা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যবহারকারীর গোপনীয়তাবিষয়ক ক্ষেত্রেও এটির গঠন রীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ব্রাউজারটি যেন মুসলিমবান্ধব ও শান্তিপূর্ণ হয়, তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সালামওয়েব’।

সালামওয়েব ব্রাউজারটি মোবাইল, ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যাবে। মেসেজিং, নিউজসহ আরও বেশকিছু অ্যাপ্লিকেশন এ ব্রাউজারে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মালোয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার গ্রাহকদের জন্য তৈরি করা হলেও এটিকে বৈশ্বিক রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
বিশ্বের ১০ শতাংশ মুসলিমকে টার্গেট করে তারা অগ্রসর হচ্ছেন। তবে উদ্যোগ বাস্তবায়নের পথে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিও হচ্ছে সালামওয়েব। শুরুতেই গুগল ও ফেসবুকের মতো কোম্পানিগুলো তাদের সমালোচনা করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও তাদের এ উদ্যোগ ভালো চোখে দেখেনি।

সালামওয়েব টেকনলোজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসনি জেরিনা মাহমুদ খান জানান, ‘অসংলগ্ন’ কনটেন্টের কারণে টুইটারকে ইতিমধ্যে ‘নারীদের জন্য বিষাক্ত স্থান বা নরক’ বলে অভিহিত করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস। তাই আমরা ইন্টারনেটকে একটি উত্তম স্থান হিসেবে পরিবর্তন করতে চাই। আমরা জানি, ইন্টারনেটে ভালো-মন্দ; দুই দিকই রয়েছে। তাই আমরা সালামওয়েবে এমন একটি টুল তৈরি করেছি, যেটি দিয়ে কেবল ভালো কিছুই উপভোগ করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ব্রাউজারটি কনটেন্ট ফিল্টারিং করবে। পর্নোগ্রাফি বা জুয়ার কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশের চেষ্টা করলে গ্রাহককে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক করা হবে। এছাড়াও মুসলিমদের ধর্মচর্চা সহজ করতে নামাজের সময় জানিয়ে দেওয়ার মতো বিষয়গুলোও এতে রাখা হয়েছে। আর প্রধানত মুসলিমদের টার্গেট করে আমরা ব্রাউজারটি তৈরি করলেও আমাদের লক্ষ্য হলো সর্বজনীন মূল্যবোধকে উৎসাহিত করা। তাই যেকেউ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। কারণ ইন্টারনেট দিন দিন ক্ষতিকর হয়ে উঠছে—তাই আমাদের বিকল্প কিছু করা জরুরি হয়ে পড়ছে।
ইথিক্যাল হ্যাকিং কিংবা সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে আগ্রহীরা আগামী ৭ মার্চ, ২০২০ শনিবারে আয়োজিত ইথিক্যাল হ্যাকিং কনফারেন্সে যোগদান করতে পারবেন। Speaker হিসেবে উপস্থিত থাকছেন "সাইবার ৭১" এর প্রতিষ্ঠাতা সহ এরিনা ওয়েব টেকনোলোজির সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা।



কনফারেন্সের বিষয় সমূহঃ
 হ্যাকারদের নিয়ে বিস্তারিত তথ্যাবলী।
 কিভাবে ব্রুট ফোর্স আক্রমন হয়ে থাকে।
 আইপি ক্যামেরা, ওয়াই ফাই নেটওয়ার্ক নিয়ে তথ্যাবলী।
 মোবাইল ম্যালওয়ার। অসতর্ক হলে হ্যাকার আপনার মোবাইলকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
 কিভাবে হ্যাকার আপনার ব্যাক্তিগত তথ্যাদি হাতিয়ে নিতে পারবে।
 ফেসবুক একাউন্ট যে সকল ভূলের কারণে হ্যাক হয়ে থাকে।
 কিভাবে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের নিরাপত্তা প্রদান করবো।
 ফেসবুক আইডিতে সমস্যা হলে যে পদ্ধতিতে সমাধান করা যায়।
 ইথিক্যাল হ্যাকাররা কিভাবে আয় করে থাকে। কোন কোন প্লাটফর্মে তারা কাজ করে থাকে। তাদের কাজের ধরণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।
 কিভাবে আপনি সাইবার নিরাপত্তা এবং ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে পারবেন।

এছাড়াও রয়েছে ১৫ মিনিট প্রশ্নোত্তর পর্ব, যার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রশ্ন গুলোর উত্তর জেনে নিতে পারবেন।
আসন সংখ্যাঃ ৫৫ টি।
তারিখঃ ৭ মার্চ ২০২০ [ শনিবার ]
সময়ঃ বিকেল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।
ঠিকানাঃ এরিনা ওয়েব সিকিউরিটি
বি/১, প্রধান সড়ক, বনশ্রী, ঢাকা।
গুগল ম্যাপঃ Arena Web Security

আগ্রহীদের অবশ্যই প্রি রেজিস্ট্রেশন করে আসতে হবে। বিস্তারিত শর্তাবলী রেজিস্ট্রেশন ফর্মেই উল্লেখ করা রয়েছে।
রেজিস্ট্রেশন লিংকঃ   Ethical Hacking Conference, Dhaka
ভারতে নিষিদ্ধ করা হতে পারে পাবজি গেম। পাঞ্জাব-হরিয়ানা কোর্টের আদেশের পর এবার পাবজি গেম বন্ধে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।এ বিষয়ে দেশটির তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। 
উল্লেখ্য যে, পাঞ্জাব-হারিয়ানা হাইকোর্ট ভারতীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে পাবজি বন্ধের জন্য ব্যাবস্থা নিতে আদেশ করেছে। এর আগেও কয়েকটি রাজ্যে পাবজি বন্ধ হলেও কেন্দ্রীয় ভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয় নি।
এর আগে এইচসি অরোরা নামের এক আইনজীবী পাঞ্জাব ও হরিয়ানা কোর্টে পাবজি গেম বন্ধ করার আবেদন করেছিলেন। তার দাবি ছিল, এই গেম বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে। বাচ্চারা গেমের নেশায় বুঁদ হয়ে পড়ছে।

বাচ্চারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাবজি খেলে চলেছে। একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা টানা গেম খেলছে বাচ্চারা। তা ছাড়া অত্যধিক অ্যাকশন গেম খেললে মানসিক বিকাশে প্রভাব পড়তে পারে। এমনকি পড়াশুনা কিংবা স্কুলেও অমনোযোগী হয়ে উঠতে শিক্ষার্থীরা।

অতিরিক্ত অ্যাকশন গেম খেলায় বাচ্চাদের মধ্যে হিংসার প্রবৃত্তি বাড়ছে বলেও দাবি করেছিলেন ওই আইনজীবী। সমস্ত যুক্তি-তর্কের পর পাঞ্জাব ও হরিয়ানা আদালত এই ব্যাপারে রায় দান করে।
পাবজি গেমের নেশায় বুঁদ হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন কেউ কেউ। এমনকী এই গেমের জন্য মৃত্যু খবরও পাওয়া গিয়েছিল। আইনজীবী জানিয়েছিলেন, পাবজি-র নেশা ব্লু হোয়েল গেম-এর থেকেও মারাত্মক। 

- সূত্রঃ টাইমস অফ ইন্ডিয়া



মার্কিনিদের গুপ্তহত্যার শিকার আল-কুদস ফোর্সের প্রধান ও বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় কঠিন প্রতিশোধ নেয়ার হুঙ্কার দিয়েছে ইরান। উত্তেজনার মাঝেই শুরু হয়ে গেছে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার যুদ্ধ।  

"ইরান সাইবার সিকিউরিটি গ্রুপ হ্যাকার্স" ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ডিপোজিটরি লাইব্রেরি প্রোগ্রামের সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। ওয়াশিংটন ডিপার্টমেন্টের আরেকটি সরকারি ওয়েবসাইট ও ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে। 

স্বাভাবিক ভাবেই হ্যাকাররা ওয়েবসাইটের সকল তথ্য মুছে দিয়ে  মার্কিন হামলায় নিহত ইরানের শীর্ষ সেনা কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধের শপথ করে এক বার্তা প্রকাশ করেছে। রয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্র্যাম্পকে ব্যাঙ্গ করা একটি ছবিও। 
এছাড়াও ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনী ও ইরানের পতাকার ছবি ওয়েবসাইটের ডিসপ্লেতে আপলোড করা হয়।

ইরানিয়ান হ্যাকার গ্রুপ পরিচিতিঃ 
সাইবার জগতে ইরানিয়ান হ্যাকারদের বেশ পরিচিতি রয়েছে। ২০১০ সাল থেকেই বেশ কিছু ইরানিয়ান হ্যাকার গ্রুপ হ্যাকিং কমিউনিটিতে দাপটের সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এর মধ্যে ইরানিয়ান সাইবার আর্মি, পার্সিয়ান হ্যাকার গ্রুপ, শিল্ড ইরান, আসিয়ানে ডিজিটাল সিকিউরিটি টিম অন্যতম। নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া ইরানিয়ান সাইবার আর্মির সদস্যদের সাথে বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের হ্যাকারদের সাথে বেশ সখ্যতা ছিলো। তবে সম্প্রতি গত তিন বছর সময়ে ফসফরাস, যার আরেক নাম ‘এপিটি ৩৫’ হ্যাকার টিমটি আন্তর্জাতিক ভাবে ইরানের হয়ে হ্যাকিং কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে। 


আমেরিকান হ্যাকার গ্রুপ পরিচিতিঃ 
বলা হয়ে থাকে ইন্টারনেটের দুই তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই আছে। তাই সরকারি ভাবে আমেরিকা ইন্টারনেট জগতে অনেক শক্তিশালী। সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেন ফাঁস করে দিয়েছেন যে প্রিজম কর্মসূচির আওতায় ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট, ইয়াহু, ইউটিউব এবং অ্যাপলসহ বিভিন্ন ইন্টারনেট জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানকে না জানিয়েই তাদের সার্ভারে সরাসরি প্রবেশ করে তথ্য সংগ্রহ করে আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসআই) ও ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। তাই রাষ্ট্রীয় ভাবে আমেরিকা হ্যাকিং দিকেও অনেক শক্তিশালী, তবুও কিছু হ্যাকার গ্রুপ স্বতন্ত্র ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে ডিসি লিকস, হংকার ইউনিয়ন, এনন কোড, লাজারুস অন্যতম।

বর্তমান সাইবার যুদ্ধের অবস্থাঃ 
ইতিমধ্যেই ইরান সাইবার সিকিউরিটি গ্রুপ হ্যাকার্স মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ডিপোজিটরি লাইব্রেরি প্রোগ্রামের সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। ওয়েবসাইটটি এখনো অচল অবস্থায় আছে। লিংকঃ fdlp.gov
মোসলেম নামক একটি হ্যাকার দল ওয়াশিংটন ডিসি অফিসের সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ৬ টি পৃথক সরকারি দপ্তরে হামলা চালিয়েছে। শিল্ড ইরান নামের একটি হ্যাকার দল ও এই সাইবার যুদ্ধে অংশ নিয়ে একটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। সেই সাথে ব্যাংক অফ আমেরিকার একটি ব্লগ পোর্টাল সহ আরো কিছু ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে শিল্ড ইরান।
উল্লেখ্য, এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের হ্যাকারদের থেকে পাল্টা কোন আক্রমনের খবর পাওয়া যায় নি।

ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার যুদ্ধের সূচনা এবং ইতিহাসঃ 
ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র কয়েকবার সাইবার যুদ্ধে একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়েছিলো। ২০১০ এর জুন মাসে ইরানের নিউক্লিয়ার গবেষণাগারে সাইবার এট্যাক চালানো হয়। ভাইরাসের নাম ছিলো 'স্টাক্সনেট'। এট্যাকটটি চালানো হয়েছিলো আমেরিকা এবং ইসারাইল এর যৌথ উদ্যোগে। সেই সময়ে স্টাক্সনেট প্রায় ১০০০ নিউক্লিয়ার সেন্ট্রিফিউজ নষ্ট করে দেয়। আরেকটি রিপোর্টের মতে, ইরানের প্রায় ৬০ হাজার কম্পিউটার এই স্টাক্সনেট ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়। 
২০১২ সালে একটি রিপোর্টে বলা হয় ইরানের গভর্নমেন্ট দ্বারা আমেরিকা-ইসরাইল এর ব্যাংক এ সাইবার এট্যাক চালানো হয়। আর এটাকেই বলা হয় ইরান আমেরিকার সাইবার যুদ্ধের সূচনা।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুন মাসে ইরান এক হামলায় ২৪০ মিলিয়ন ডলারের আমেরিকান ড্রোন ভুপাতিত করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা ইরানিয়ান মিসাইল নিয়ন্ত্রণ করার সামরিক কম্পিউটার সিস্টেমে সাইবার আক্রমন পরিচালনা করে।

ইরানিয়ান হ্যাকারদের সম্ভাব্য পরবর্তী পদক্ষেপঃ 
আল-কুদস ফোর্সের প্রধান ও বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার ঘটনার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে ইরানিয়ান হ্যাকারদের কিছু কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়েছিলো। ২০১৯ সালের অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩০ দিনে ইরানিয়ান হ্যাকার গ্রুপ ফসফরাস দুই হাজার সাতশত বার বিভিন্ন ইমেইল অ্যাকাউন্টের পরিচয় জানার চেষ্টা চালিয়েছে। এরপর দলটি ২৪১টি ইমেইল অ্যাকাউন্টের উপর আক্রমণ চালায়।
“এসব অ্যাকাউন্টধারীর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা সংশ্লিষ্ট লোকজন, সাবেক ও কর্মরত মার্কিন সরকারী কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ে কাজ করেন এমন সাংবাদিক এবং প্রভাবশালী প্রবাসী ইরানী ব্যক্তি”
বলা যেতেই পারে ইরানিয়ান হ্যাকারদের পরবর্তী পদক্ষেপ থাকবে মার্কিন নির্বাচনকে ঘিরেই।

যুক্তরাষ্ট্রের হ্যাকারদের সম্ভাব্য পরবর্তী পদক্ষেপঃ 
রাশিয়া এবং ইরানিয়ান হ্যাকারদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক না থাকলেও বর্তমান যুদ্ধের বিষয়টি আন্তর্জাতিক একটি ইস্যু হওয়ার কারনে ইরানের সাথে রাশিয়ান এবং চাইনিজ হ্যাকাররা যোগ দিতে পারে। রাষ্ট্রীয় ভাবে নির্বাচন এবং আন্তর্জাতিক অনেক বিষয় জড়িত থাকার দরুণ সরকারি কিংবা বেসরকারি ভাবে আমেরিকার পক্ষ থেকে পাল্টা সাইবার আক্রমন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক ক্ষীণ। 

সম্ভাব্য ফলাফলঃ 
যেহেতু সাইবার যুদ্ধটা শুরু হয়েছে জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় তাই যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে ইরানকে বিষয়টা নিয়ে সমাধান করতে পারে তার উপর সাইবার যুদ্ধের ফলাফল নির্ভর করছে। তবে ভুক্তভোগী দেশ হিসেবে সাইবার যুদ্ধ শুরু করা ইরান চলমান সাইবার আক্রমনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এগিয়ে থাকবে।

নিহত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশের হ্যাকারদের সাইবার যুদ্ধের ইতিহাসঃ 
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া টপকানোর সময় ভারতীয় সীমান্ত-রক্ষীদের গুলিতে বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানি খাতুনের মৃত্যুর ঘটনায় ২০১১ সালে বাংলাদেশের হ্যাকাররা ভারতের বিপক্ষে সাইবার যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলো। উক্ত সাইবার যুদ্ধে ভারতীয় ৩০ হাজারেরও অধিক ওয়েবসাইট আক্রমনের শিকার হয়েছিলো।

চ্যড হারলি, স্টিভ চ্যান ও বাংলাদেশি বংশদ্ভুত জাওয়েদ করিম ইউটিউবকে মূলত ডেটিং ওয়েবসাইট হিসেবে তৈরি করেন।  তেমনই ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, উইকিপিডিয়ার কার্যক্রম ছিল বর্তমান সময়ের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। 

ইউটিউব ছিল ডেটিং ওয়েবসাইটঃ 

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। কিন্তু সাইটটির তিন প্রতিষ্ঠাতা চ্যড হারলি, স্টিভ চ্যান ও বাংলাদেশি বংশদ্ভুত জাওয়েদ করিম ইউটিউবকে মূলত ডেটিং ওয়েবসাইট হিসেবে তৈরি করেন। তারা চেয়েছিলেন ব্যবহারকারীরা তাদের সম্পর্কে ভিডিও আপলোড করবেন এবং এর মাধ্যমে তারা তাদের পার্টনার খুঁজে নেবেন। কিন্তু প্রথম কয়েক মাসে কোনো নারীই তাদের ভিডিও আপলোড করেননি। এমনকি ভিডিও আপলোডের শর্তে ২০ ডলার দেওয়ার প্রস্তাবেও তাদের পরিকল্পনা সফলতার মুখ দেখেনি। তাই বাধ্য হয়েই উদ্যোক্তারা সব ধরনের ভিডিও আপলোডের জন্য ইউটিউবকে উন্মুক্ত করে দেয়।

ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটির পেছনে ছিলেন মূলত তিনজন প্রযুক্তিপ্রণেতা, পেপ্যাল প্রতিষ্ঠানের তিন প্রাক্তন চাকুরীজীবি চ্যাড হারলি, স্টিভ চ্যান আর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাভেদ করিম। তারা একসঙ্গে চাকরি করতেন। মাত্র কয়েক মাসের চেষ্টায় তৈরি হওয়া ইউটিউব ভিডিও ফাইলের আকার ছোট করে প্রদর্শনের বিশেষ প্রযুক্তির জন্য বিশ্বে অনন্য সাধারণ অবস্থান নিয়েছে। এখন ইউটিউবে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ বিলিয়ন বার ভিডিও দেখা হয়। প্রতি মিনিটে আপলোড হয় ৪৮ ঘণ্টার ভিডিও। ১ কোটি ১৫ লাখ ডলারে নির্মাণ করা ইউটিউব এক বছরের মধ্যেই ১৬৫ কোটি ডলারে কিনে নেয় গুগল। ইউটিউব প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাওয়াদ করিম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। ১৯৭৯ সালে পূর্ব জার্মানির মার্সবার্গে জন্মগ্রহণ করেন জাভেদ করিম। তার বাবা বাংলাদেশের প্রবাসী বিজ্ঞানী নাইমুল করিম ও মাইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার বায়োকেমিস্ট্রির বিজ্ঞানী ক্রিস্টিনা করিম। নাইমুল করিম ১৯৯২ সালে সপরিবারে আমেরিকা পাড়ি দেন। ছোট বেলা থেকেই জাওয়াদ ছিলেন একটু চুপচাপ প্রকৃতির। কিন্তু চুপচাপ হলে কী হবে? তার মাথার মধ্যে সবসময় নানান ধরণের ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনা ঘুরপাক খেত। ছোটবেলা থেকেই আবিষ্কারের নেশা তাকে পেয়ে বসতো, আর তার ফলাফল আজকের এই ইউটিউব। জাওয়াদ করিমের ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত বেড়ে ওঠা জার্মানিতে হলেও পরবর্তীতে পড়ালেখা করেন আমেরিকায়। জাভেদ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন। কম্পিউটার বিজ্ঞানে তার স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছিলেন ২০০৫ সালে। জন্ম ও বেড়ে ওঠা: ৯৭৯ সালে পূর্ব জার্মানির মার্সবার্গে জন্মগ্রহণ করেন ইউটিউব প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ করিম। তার বাবা বাংলাদেশের প্রবাসী বিজ্ঞানী নাইমুল করিম ও মাইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার বায়োকেমিস্ট্রির বিজ্ঞানী ক্রিস্টিনা করিম। নাইমুল করিম ১৯৯২ সালে সপরিবারে আমেরিকা পাড়ি দেন। ছোট বেলা থেকেই জাওয়াদ ছিলেন একটু চুপচাপ প্রকৃতির। কিন্তু চুপচাপ হলে কী হবে? তার মাথার মধ্যে সবসময় নানান ধরণের ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনা ঘুরপাক খেত। ছোটবেলা থেকেই আবিষ্কারের নেশা তাকে পেয়ে বসতো, আর তার ফলাফল আজকের এই ইউটিউব। জাওয়াদ করিমের ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত বেড়ে ওঠা জার্মানিতে হলেও পরবর্তীতে পড়ালেখা করেন আমেরিকায়। জাভেদ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন। কম্পিউটার বিজ্ঞানে তার স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছিলেন ২০০৫ সালে।
Photo source: wikipedia
ইউটিউবের শুরুর গল্প: কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ার পাশাপাশি ২০০৪ সালে পেপ্যালে চাকরি করার সময় চ্যাড হার্লি এবং স্টিভ চেনের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। স্টিভ ছিলেন একজন কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র। হার্লি মূলত পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিন জনই নতুন কিছু করতে চাইতেন। এমনকিছু করতে চাইতেন, যাতে পুরো পৃথিবী অবাক হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে তাদের মাঝে যোগাযোগ কম হওয়ায় সেই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত করতে একটু বেশি সময় লেগে যায়। ছোট বেলা থেকেই 
ইউটিউব প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ করিম ছিলেন একটু চুপচাপ প্রকৃতির। কিন্তু চুপচাপ হলে কী হবে? তার মাথার মধ্যে সবসময় নানান ধরণের ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনা ঘুরপাক খেতো। ছোটবেলা থেকেই আবিষ্কারের নেশা তাকে পেয়ে বসতো, আর তার ফলাফল আজকের এই ইউটিউব।
 আইডিয়া হলো, অসামান্য প্রতিভাবান দুজন বন্ধু ও আছে, কিন্তু এরকম একটা সাইট চালাইতে অনেক টাকা দরকার, সেজন্য প্রয়োজন এমন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, যিনি টাকা ইনভেস্ট করবেন। ‘সেকুয়া ক্যাপিটাল’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ১১.৫ মিলিওন ডলার ইনভেস্ট করলো। ব্যস! তারা শুরু করে দিলেন তাদের কাজ। ২০০৫ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারা youtube.com ডোমেইনটি নিবন্ধন করলেন। তিন প্রকৌশলী কয়েক মাসের মধ্যে এর কাজও শেষ করে ফেললেন। নভেম্বর মাসে ‘ব্রডকাস্ট ইওরসেলফ’ শ্লোগানে অফিশিয়ালি উন্মুক্ত করা হলো ইউটিউব সাইটটি। ইউটিউবে আপলোড করা প্রথম ভিডিও: ইউটিউবের ইতিহাসে সর্বপ্রথম ভিডিওটি আপলোড করেছিলেন জাভেদ। সেটা ২০০৫ সালের ২৩ এপ্রিলের ঘটনা। ওইদিনই তিনি প্রথম তার ইউজার একাউন্ট ‘jawed’ তৈরি করেন। সেখানে ‘Me at the zoo’ নামের একটা ১৯ সেকেন্ডের পরীক্ষামূলক ভিডিও সম্প্রচার করা হয়। যা ছিল সান ডিয়াগোর এক চিড়িয়াখানায়, বয়স্ক হাতি মেসার সামনে। আর ভিডিওটি শ্যুট করেছিলেন তারই হাইস্কুলের বন্ধু ইয়াকভ লাপিস্কি। যিনি এখন টলেডো ইউনিভার্সিটির কেমিক্যান অ্যান্ড এনভয়রমেন্টাল ইঞ্জিনিয়রিংয়ের অধ্যাপক । ভিডিও কোয়ালিটি একটু বাজেই বলা যায়। অবশ্য আমার তিন বছর আগের ফোনের ক্যামেরার কোয়ালিটিই বাজে, আর ১৩ বছর আগের ভিডিও কোয়ালিটি তো খানিকটা বাজে হওয়াটাই স্বাভাবিক(!) অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত এই ভিডিওর ভিউ ছাড়িয়েছে ৫৫ মিলিয়ন, আর কমেন্ট ৯১৯,০০০! এখন ইউটিউবে প্রতি মিনিটে ১০০ ঘন্টার ও বেশী ভিডিও আপলোড করা হয় !!!!! ভিডিও লিংক: https://youtu.be/jNQXAC9IVRw কর্মজীবন: ইউটিউব প্রতিষ্ঠার পর জাওয়াদ করিম আবারো স্ট্যানফোর্ডে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা শুরু করেন। ইউটিউবের পরামর্শক হিসেবে তখন তিনি দায়িত্বরত ছিলেন। যখন ওয়েবসাইটটি পরিপূর্ণভাবে লঞ্চ করা হয়, তখন নিজেকে একটু দূরে সরিয়ে রাখেন জাওয়াদ। নিজের পড়াশোনায় বেশি ফোকাস করে প্রতিষ্ঠানটির অনানুষ্ঠানিক পরামর্শক হিসেবে বাইরে থেকে কাজ করতেন তিনি। তিনি ২০০৭ সালের ১৩ই মে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বক্তৃতা দেন যেখানে তিনি তাঁর জীবনের উত্থান পতন এবং ইউটিউব তৈরির বিষয়টি তুলে ধরেন। বক্তৃতাটি হলো- “সবারই সম্ভবত ইউটিউব নিয়ে পছন্দ-অপছন্দের মিশ্র অনুভূতি আছে। কারণটা মনে হয় ইউটিউব নিজেই। একদিকে ইউটিউব যেমন প্রত্যেককে রাত জেগে নতুন সব ভিডিও দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। ঠিক উল্টোভাবে বলা যায়, রাতের পর রাত এসব ভিডিও দেখার কারণে ইউটিউব তোমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করছে। আমি এ সুযোগে, ইউটিউবের কারণে যাদের সিজিপিএ গ্রেড কমে গেছে তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। অনেকে হয়তো জেনে খুশিই হবে যে ইউটিউব তোমাদের থেকে আমার বেশি সময় নষ্ট করেছে! যে কারও থেকে বেশি সময় ভিডিও দেখার জন্য বেশি সময় নষ্ট হয়েছে। অনেকে খেয়াল করেছ, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠানে যেসব বক্তা আসেন তাদের মধ্যে আমি সর্বকনিষ্ঠ। এর ভালো-মন্দ দুটো দিকই আছে। খারাপ দিক হলো, বয়সের কারণে আমি তোমাদের জীবন সম্পর্কে গভীর কোনো দর্শনের ধারণা দিতে পারব না। না পারার কারণ হিসেবে বলা যায় আমি নিজেই সেই ধারণা খুঁজে বেড়াচ্ছি। ভালো দিক হলো তোমরা এবং আমি বয়সে একই প্রজন্মের। তার মানে দাঁড়ায়, আমি যে সুযোগ পেয়েছি, যা শিখতে পেরেছি, তা এখনো প্রয়োগ করার সুযোগ আছে। তিন বছর আগে আমি যে সুযোগ পেয়েছি, যেসব ধারণা প্রয়োগ করেছি তা তোমরা এখনো একইভাবে প্রয়োগ করার সুযোগ ও সময় পাবে।
ইউটিউব প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাওয়াদ করিম

 মিনেসোটার হাইস্কুলে পড়ার সময় আমি পৃথিবীর প্রথম জনপ্রিয় ইন্টারনেট ওয়েব ব্রাউজার মোজাইকের কথা শুনি এবং ব্যবহারের সুযোগ পাই। আমি ম্যাপ নিয়ে ইলিনয় খুঁজে বের করি এবং খেয়াল করি জায়গাটা মিনেসোটা থেকে বেশি দূরে নয়। তখনই আমার মাথায় নতুন চিন্তা ঢুকে গিয়েছিল। জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার যদি আমারই বাড়ির আঙিনার লোকজন উদ্ভাবন করে, তাহলে আমি অন্য কোথাও কেন যাব? সেই সময় আমি কোনো চিন্তা না করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি, আমাকে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেই হবে। আমি হাইস্কুলের পড়াশোনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অপেক্ষায় ছিলাম কর্তৃপক্ষের চিঠির জন্য। খুব দ্রুতই আমি উত্তর পাই, কিন্তু সে উত্তর ছিল আমার জন্য হতাশাজনক। আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলা হয়, কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগে আমি ভর্তি হতে পারব না। ওই বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা পূর্ণ হওয়াতে আমার ভর্তির সুযোগ নেই। কিন্তু আমি সিরামিকস প্রকৌশল বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাব। আমি বলতে চাই না, সিরামিকস বা মৃৎশিল্পের কোনো ভবিষ্যৎ নেই কিন্তু আমি তো এর জন্য আবেদন করিনি, স্বপ্ন দেখিনি। পুরোপুরি হতাশ হয়েছিলাম আমি। তো আমি তখন কী করতে পারি? আমি পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি দীর্ঘ চিঠি লিখি এবং কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করা যায় কি না তা জানতে চাই। আমি সেই চিঠিতে লিখেছিলাম, ‘কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ থাকবে আমার আবেদনপত্রের কোনো বিষয়ই যেন উপেক্ষা না করা হয়। আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি আমি কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার জন্য আগ্রহী এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী।’ আমার আবেদন পুনরায় বিবেচনা করা হয় এবং আমি কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়ার সুযোগ পাই। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের আমার প্রথম শিক্ষা ছিল কোনো কিছুর প্রতি নাছোড়বান্দার মতো লেগে থাকলে তা চূড়ান্ত ফল আনবেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বছরেই আমি এক প্রতিষ্ঠিত ইন্টারনেট ভিত্তিক অর্থ লেনদেনের কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ পাই। মনে হচ্ছিল, চাকরিটা আমার জন্য বড় একটা সুযোগ। আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না পড়াশোনা বাদ দিয়ে কোম্পানিতে যোগ দেওয়ার সুযোগটা গ্রহণ করা ঠিক হবে কি না? আমি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত না নিয়ে দুসপ্তাহ সময় নিই। পরে পড়াশোনায় বিরতি দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়াতে পেপ্যাল সদর দপ্তরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আমার মতে, যখন ঝুঁকি গ্রহণের সুযোগ পাবে তা অবহেলা করো না। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে ভারত মহাসাগরে সুনামি আঘাত আনে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ধারণ করা সুনামির ভিডিওগুলো খুব দ্রুত গতিতে ইন্টারনেট ভুবনে ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় ইন্টারনেটে কোনো সক্রিয় সাইট ছিল না, যেখান থেকে ভিডিওগুলো সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়, দেখা যায়। এলোমেলোভাবে বিভিন্ন সাইটে অপরিকল্পিতভাবে ভিডিওগুলো সংরক্ষণ করা হয়, ভিডিও শেয়ার করার কোনো ভালো সাইট ছিল না। ই-মেইলেও সংযুক্ত করে ভিডিওগুলো পাঠানো যেত না। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল ভিডিওগুলো দেখার জন্য তোমাকে প্রথমেই একটি ভিডিও প্লেয়ার ইন্সটল করতে হতো। ইন্সটলের পর সবচেয়ে বড় কাজ ছিল বাড়ির লোকজনকে তা চালানো শেখানো। ইন্টারনেটে ভিডিও দেখার এই সমস্যাগুলো সমাধানের উপযুক্ত সময় ছিল তখন। সুনামির দুই মাসের মধ্যেই ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি ও পেপ্যালের দুজন সহকর্মী ভিডিও শেয়ার ও সংরক্ষণের একটি ওয়েবসাইট তৈরির পরিকল্পনা করি। আমরা ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনের দিনে কাজ শুরু করি। ভ্যালেন্টাইনের দিন বলে কি কাজ বন্ধ থাকবে নাকি? এটাও তো অন্য একটা সাধারণ দিনের মতোই, তাহলে সেদিনই নয় কেন? ২৩ এপ্রিল ইউটিউব ডট কম নামের ওয়েবসাইট আমরা উন্মুক্ত করি। শুরুর দিকে আমাদের ওয়েবসাইট খুব কম জনই ব্যবহার করছে। অন্যদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য আমরা সাইটটিকে নতুন ধরনের ডেটিং সাইট বলে প্রচার করি। আমরা একটি স্লোগানও ঠিক করি: ‘টিউন ইন, হুক আপ’। আমরা কিছু আসল ডেটিং ভিডিও দেখে হতাশ হয়ে উঠেছিলাম। তাই আমরা এখানে সব ধরনের ভিডিও আপলোডের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠি। আমরা লস অ্যাঞ্জেলেস ও লাস ভেগাসের মেয়েদের উৎসাহিত করলাম আমাদের সাইটে ভিডিও আপলোডের জন্য। আমরা প্রতি ভিডিওর জন্য তাদের ২০ ডলার পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করলাম। আমাদের এই ঘোষণায় কেউ সাড়া না দিলে পুরস্কার ঘোষণা মাঠে মারা যায়! আমরা ওয়েবসাইট নিয়ে নতুন চিন্তা শুরু করলাম। পরে জুন মাসেই আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে অনেক পরিবর্তন আনলাম। সাধারণ একটা রূপ দেওয়ার চেষ্টা করলাম, যেন সব ব্যবহারকারী খুব সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারে। প্রতিষ্ঠার ১৮ মাসের মধ্যেই আমাদের ওয়েবসাইট নিয়ে আমরা আলোচিত হই। সাধারণ মানুষের কাছে আমরা খবরের শিরোনাম হই। তাদের অনেকের জিজ্ঞাসা ছিল, কীভাবে এ ধরনের আইডিয়া আমরা কোথা থেকে পেলাম। আমি তাদের সব সময় একটাই কথা বলি। চারদিকে সব সময়ই মেধাবী মানুষ থাকে, খুঁজে বের করতে হয় তাদের।
 তোমরা যখন এই হল থেকে বের হয়ে যাবে, তখন একটা কথাই মনে রাখবে। পৃথিবী তোমার জন্য অপেক্ষা করছে নতুন কোনো বড় উদ্যোগ সুযোগ সৃষ্টির জন্য। সবাইকে অভিনন্দন।
সূত্রঃ ইন্টারনেট